লোকশিল্পের নানান বৈচিত্র্যের মধ্যে কাঁথাশিল্প এক বিশেষ ধরনের শিল্পকলা যা প্রায় হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। আবহমানকাল ধরে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে সূচিশিল্পের যোগ অবিচ্ছেদ্য। কাঁথাশিল্প সূচিশিল্পের অনন্য নিদর্শন। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে এর যোগ আদিমকাল থেকেই। বিভিন্ন পুরাবস্ত্তর নিরিখে এর প্রমান পাওয়া যায়।
কাঁথা শব্দটি সংস্কৃত " কন্থা " শব্দ থেকে এসেছে। অর্থাৎ " কন্থা -কংথা -কাঁথা "। আঞ্চলিকতার নিরিখে কাঁথা শব্দটির উচ্চারণগত পার্থক্য লক্ষ করা যায়। যেমন - ক্যাঁথা, ক্যাঁতা, কেঁথা, কাঁতা, ক্যাতা, কেতা, কেথা প্রভৃতি। বাংলার মেয়েদের নিজস্ব শিল্পধারায় উচ্চারণগত নামের তারতম্য থাকলেও ব্যবহারিক উপযোগিতায় সাযুজ্য রয়েছে।
লোকশিল্প কলাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি হল রীতি বা আচার সংক্রান্ত, দ্বিতীয়টিকে ব্যবহারিক হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। এবং তৃতীয়টি সমষ্টিগত শিল্প। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, পটুয়াদের চিত্র এবং অঙ্কন, জড়ানো পট, ঐতিহ্যময় জড়ানো পট শিল্পীদের মতো কাঁথাও বাংলার নারীদের একক সমষ্টিগত শিল্পকলার একটি উদাহরণ।বলা বাহুল্য কাঁথা গ্রামের দরিদ্রদের তথা গ্রামীন লোকায়ত সংস্কৃতির পরিচায়ক। মধ্যযুগেও কাঁথাকে দরিদ্রদের প্রধান উপকরণ হিসাবে গন্য করা হয়। বাংলার প্রায় সকল সম্প্রদায়ের মহিলাই কাঁথা তৈরী করত, এবং প্রয়োজনে উপহার হিসাবেও প্রদান করত প্রিয়জন ও নিকট আত্মীয়দের। কাঁথাশিল্প লোকশিল্পের খুবই গুরুত্বপূর্ন উদাহরণ।
নানা ভাবে কাঁথার বিভিন্ন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।রাজশেখর বসু তাঁর " চলন্তিকা " -এ কাঁথার অর্থ করেছেন - কতকগুলি কাপড় একত্র সেলাই করে তৈরী আস্তরণ বা শীতবস্ত্র হিসাবে। কিন্তু কাঁথা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ব্যবহারের অনুপযুক্ত বা পরিত্যক্ত কাপড়। তাই এক্ষেত্রে কামিনী রায় তাঁর " লৌকিক শব্দকোষ "-এ কাঁথার খুবই যুক্তিযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য আভিধানিক অর্থ করেছেন। তাঁর মতে " কয়েকটি কাপড় ( সাধারনত পুরাতন ) একত্রে সেলাই করিয়া গাত্রাবরণ বা শয্যাস্তরন "। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর " বঙ্গীয় শব্দকোষ "-এ কাঁথার অর্থ করেছেন , " সেলাই করা জীর্ণবস্ত্রাদির আস্তরণ বিশেষ "। "মঙ্গলচন্ডী পাঞ্চালিক " -তে কাঁথাকে বলা হয়েছে " খাঁতা " নামে। " গোপীচন্দ্রের গান " -এ কাঁথাকে বলা হয়েছে " ক্যাঁথা "। এছাড়া কাশীরাম দাসের " মহাভারত " ও রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের লেখাতেও কাঁথার উল্লেখ পাওয়া যায়।
লোকশিল্প কলাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি হল রীতি বা আচার সংক্রান্ত, দ্বিতীয়টিকে ব্যবহারিক হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। এবং তৃতীয়টি সমষ্টিগত শিল্প। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, পটুয়াদের চিত্র এবং অঙ্কন, জড়ানো পট, ঐতিহ্যময় জড়ানো পট শিল্পীদের মতো কাঁথাও বাংলার নারীদের একক সমষ্টিগত শিল্পকলার একটি উদাহরণ।বলা বাহুল্য কাঁথা গ্রামের দরিদ্রদের তথা গ্রামীন লোকায়ত সংস্কৃতির পরিচায়ক। মধ্যযুগেও কাঁথাকে দরিদ্রদের প্রধান উপকরণ হিসাবে গন্য করা হয়। বাংলার প্রায় সকল সম্প্রদায়ের মহিলাই কাঁথা তৈরী করত, এবং প্রয়োজনে উপহার হিসাবেও প্রদান করত প্রিয়জন ও নিকট আত্মীয়দের। কাঁথাশিল্প লোকশিল্পের খুবই গুরুত্বপূর্ন উদাহরণ।
নানা ভাবে কাঁথার বিভিন্ন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।রাজশেখর বসু তাঁর " চলন্তিকা " -এ কাঁথার অর্থ করেছেন - কতকগুলি কাপড় একত্র সেলাই করে তৈরী আস্তরণ বা শীতবস্ত্র হিসাবে। কিন্তু কাঁথা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ব্যবহারের অনুপযুক্ত বা পরিত্যক্ত কাপড়। তাই এক্ষেত্রে কামিনী রায় তাঁর " লৌকিক শব্দকোষ "-এ কাঁথার খুবই যুক্তিযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য আভিধানিক অর্থ করেছেন। তাঁর মতে " কয়েকটি কাপড় ( সাধারনত পুরাতন ) একত্রে সেলাই করিয়া গাত্রাবরণ বা শয্যাস্তরন "। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর " বঙ্গীয় শব্দকোষ "-এ কাঁথার অর্থ করেছেন , " সেলাই করা জীর্ণবস্ত্রাদির আস্তরণ বিশেষ "। "মঙ্গলচন্ডী পাঞ্চালিক " -তে কাঁথাকে বলা হয়েছে " খাঁতা " নামে। " গোপীচন্দ্রের গান " -এ কাঁথাকে বলা হয়েছে " ক্যাঁথা "। এছাড়া কাশীরাম দাসের " মহাভারত " ও রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের লেখাতেও কাঁথার উল্লেখ পাওয়া যায়।
তথ্যসুত্র :
৪. লোকশ্রুতি ( তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর )
৫. লোকজ শিল্প (বরুণকুমার চক্রবর্তী )
৫. লোকজ শিল্প (বরুণকুমার চক্রবর্তী )
No comments:
Post a Comment