![]() |
অবিভক্ত বাংলা |
ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী দেখতে গেলে অবিভক্ত বাংলা জুড়েই কাঁথা শিল্পের প্রসার ঘটেছিল। প্রকৃত অর্থে কাঁথা শিল্প হল বঙ্গনারীর শিল্পকলা। ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাকৃতিক এবং রাজনৈতিক ভুখন্ডের অন্তর্গত পর্বত ও তার পাদদেশ, মালভূমি, উপত্যকা, সমভূমি ব-দ্বীপ এবং অন্যান্য ভূমি গঠনের মধ্যে বাংলার সংস্কৃতি, এর কলা, নিজভাষা ও ধর্ম এবং গ্রন্থের প্রভাব অনুভব করা যায়। প্রাকৃতিক কারন বাংলায় বিভিন্ন শিল্পকলার জন্ম দিয়েছে। লোকশিল্পকলা হচ্ছে সাধারন ভাবে দেশের গ্রামীন মানুষের আশা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। সাধারন ভাবে এই শিল্প দেশের মৃত্তিকায় গভীর ভাবে প্রোথিত এবং জনপ্রিয় বিশ্বাস ও রীতির সঙ্গে খুব নিবিড় ভাবে জড়িত। বাংলার ঐতিহ্যশালী শিল্প রূপে নিজেকে প্রকাশ করেছিল।
![]() |
বিভক্ত বাংলাদেশ |
স্বাধীনতার পূর্ব অবিভক্ত বাংলায় কাঁথা শিল্পের যে প্রসার ঘটেছিল তা স্বাধীনতার পর বাংলার বিভক্ত হওয়ায় নানান দিক থেকে প্রভাবিত হয়েছে। পূর্ব বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, যশোর, পুঠ্লা, নবাবগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, বরিশাল, মধুপুর প্রভৃতি অঞ্চলে কাঁথা শিল্পের প্রসার ঘটে।
![]() |
পশ্চিম বঙ্গ |
অপরদিকে ভারতের অন্তর্গত পশ্চিম বঙ্গের বীরভূমের বোলপুর অঞ্চল, পুরুলিয়া, নদীয়ার কৃষ্ণনগর অঞ্চল বসিরহাটের সেনপালা অঞ্চল, বারাসাত, কদম্বগাছি প্রভৃতি অঞ্চলে কাঁথা শিল্পের বিস্তার লক্ষ করা যায়। বর্তমানে পরিশীলিত ও অশীলিত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ঐতিহ্যশালী শিল্পকলা এক অবক্ষয়ের পর্যায়ের মধে প্রবেশ করেছে। লোকশিল্প উপযুক্ত এবং সমবেদনাপুর্ন গ্রামীন শিল্পীর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ধীরে ধীরে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়ে অবলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে।
তথ্যসুত্র :
৪. লোকশ্রুতি ( তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর )
৫. লোকজ শিল্প (বরুণকুমার চক্রবর্তী )
৫. লোকজ শিল্প (বরুণকুমার চক্রবর্তী )
No comments:
Post a Comment